প্রায় সর্বত্রই হয়রানি ও ভোগান্তির অভিযোগ থাকলেও ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় বিগত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩১হাজার ভূমি জমাখারিজ ও নামজারি নিস্পত্তির রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। যা পরিসংখ্যানের দিক থেকে সারাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সহকারি কমিশনার (ভূমি) এইচ.এম. ইবনে মিজান।
একই সঙ্গে বিগত এক বছরে ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় ১২শত ভূমি মোকাদ্দমা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এতে সেবা প্রার্থীদের সন্তুষ্টির মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের পরিমাণও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন এই ভূমি কর্মকর্তা।
সেই সঙ্গে অনলাইন প্রদানে দক্ষতা দেখিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি। আর এ কারণেই প্রতি বছরই বাড়ছে এই ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের পরিমাণ।
সংশ্লিষ্ট কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে ৫ কোটি ২৫ লাখ ৪৭ হাজার। এর আগের বছর এই আদায়ের পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫৫ হাজার। এছাড়াও ২০-২১ অর্থ বছরে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে ৪ কোটি ১২ লাখ ২৮ হাজার টাকা।
এছাড়াও বিগত দুই অর্থ বছরে সদর উপজেলায় সরকারের ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের ভূমি ভ্রাম্যমান আদালত ও উচ্ছেদ অভিযানে প্রভাবশালি দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দাপুনিয়া ও ভাবখালী বাজারের অবৈধ দখল, দড়ি কুষ্টিয়া জলমহাল, নগরীর উমেদ আলী পার্কের অবৈধ দখল এবং কাচারি ঘাটের অবৈধ দখল উচ্ছেদ উল্লেখযোগ্য।
সেই সঙ্গে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী এলাকাসমূহে বিগত সময়ে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভাবে উত্তোলিত প্রায় ৫০ লাখ টাকা মূল্যের বালু জব্দ করে নিলামে বিক্রি মাধ্যমে রাস্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয় বলে জানান অফিস সহকারি মো: ফখরুল হাসান।
সূত্রমতে, বিগত ২১-২২ ও ২২-২৩ অর্থবছরে সিটি কর্পোরেশন ও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৩১০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৬.২০০০ একর খাস জমি বরাদ্ধ দেওয়া হয়। এতে প্রতিটি পরিবারকে ২ শতাংশ জমি বরাদ্ধসহ আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই খাস জমিসমূহের অধিকাংশই ছিল অবৈধ দখলে। পরে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক তা উচ্ছেদ করা হয়।